বৃহস্পতিবার, ২ মে, ২০১৩

৫ ই মে যোগ দাও

লংমার্চের মতো যদি ৫ই মে'র ঢাকা অবরোধ সফল করা যায়, তবে এদেশে নাস্তিক্যবাদ ও ইসলাম বিদ্বেষীদের চূড়ান্ত মৃত্যুঘন্টা বেজে যাবে ইনশাআল্লাহ। তবে লংমার্চের বাধা আর অবরোধের বাধা একটু ভিন্ন ধরণের।

তখন সরকার চেয়েছিল জনবিচ্ছিন্ন শাহবাগীদের দিয়ে লংমার্চ ঠেকাতে, এবার মাঠে নামিয়েছে মাজার পুজারী গ্রুফকে। তবে আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি, মাজারপুজারী গ্রুফের বাধা ধোপে টিকবে না ইনশাআল্লাহ। একেতো ওদের সংখ্যা খুবই নগন্য, দ্বিতীয়ত চট্রগ্রাম ছাড়া অন্য কোথাও তাদের তেমন কোন সংগঠিত শক্তি নেই। আর সেজন্যই পঁচা শামুকে যেন পা না কাটে সিদিকে লক্ষ রাখা দরকার হেফাজতের। মাজারপুজারী গ্রুফের সাথে সংঘর্ষ এড়ানোর সর্বাত্মক চেষ্টা থাকা দরকার আমাদের।

কারণ, ওরা সামান্য গোলমাল বাধিয়ে দিতে পারলেই তাদের দালাল মিডিয়া অপপ্রচার করবে যে, ধর্মীয় গোষ্ঠিই দেশে অশান্তি সৃষ্টি করছে। সুতরাং আক্রমনাত্মক ভূমিকায় না থেকে আমাদেরকে আত্মরক্ষার ভূমিকায় থাকতে হবে। মনে রাখা দরকার, এই আন্দোলনের মূল ও প্রধান লক্ষ একটাই- আর সেটা হলো ইসলাম যেন এদেশে মাথাউঁচু করে থাকে। ইসলামের বিরোদ্ধে সংঘবদ্ধ অপপ্রচারণা ও ষড়যন্ত্রের খেলা যেন বন্ধ হয়। এই মহত উদ্দেশ্যের সাথে জড়িতদের আমি এযুগের শ্রেষ্ঠ মুজাহিদ মনে করি। এই আন্দোলনের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পারা গর্বের।

হাটহাজারীতে ফোন করে জানতে পেরেছি, অবস্থা বেগতিক হলে অবরোধ স্থায়ী করার চিন্তাভাবনা করছেন হেফাজত নেতৃবৃন্দ। সুতরাং সকলের উচিত দীর্ঘ মেয়াদী প্রস্তুতি নিয়ে অবরোধে অংশগ্রহণ করা। ঢাকা ও ঢাকার উপশহরবাসীদের উচিত, আগতদের জন্য ফান্ড সংগ্রহ করে শুকনো খাবার ও পানির ব্যবস্থা করা। আর হ্যঁ, আত্মরক্ষার লাঠি সাথে আনার যে আহবান করা হয়েছে, সেটা এখন থেকেই প্রস্তুত করা দরকার। ইনশাআল্লাহ চিরদুর্বলচিত্তের বাতিলের চোখে সেই লাঠিই হবে খালিদ বিন ওয়ালিদের তরবারী।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন